শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের ঈমাম হোসেন বেপারী সহ ৫জনকে হত্যার চেষ্টা মামলায় উচ্চ আদালতের দেয়া শর্ত ভঙ্গ করায় ১৩ আসামী কে জেল হাজতে দিয়েছে আদালত। মামলার বিবরনে জানাযায় চিতলিয়া ইউনিয়নের ঈমাম হোসেন বেপারী ও সাখাওয়াত হাওলাদার গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শত্রæতা চলে আসছিল। গত ৩ মে পবিত্র ঈদুল ফেরত দিন ঈমান হোসেন বেপারী সকাল অনুমান সাড়ে ৮টায় চিতলিয়া নদীর পাড় মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় প্রতিক্ষের লোকেরা ২নং ওয়ার্ডের আলেপ মাদবরের বাড়ির নিকট কালভার্ট ব্রীজের উপর পৌছিলে পূর্ব থেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওৎপেতে থাকা কতিপয় লোকজন ঈমাম হোসেন বেপারী কে হত্যার উদ্দেশ্যে পথরোধ করে বেদম মারপিট করে নীলা ফুলা ও হাড় ভাঙ্গা জখম করে। এ সময় ঈমাম হোসেনকে রক্ষা করতে তার আতœীয় স্বজনরা এগিয়ে আসলে আনিস উদ্দিন সরদার , বাদল বেপারী, সুমন সরদার, এনামূল সরদার সহ কয়েকজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাতœক রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ঈমাম হোসেন বেপারী বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় ৭৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।আসামীরা উচ্চ আদালতে হাজির হলে ৪ সপ্তাহের মধ্যে নি¤œ আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়। আসামীরা উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজির না হয়ে গত সোমবার আসামী সাখাওয়াত হাওলাদার,হাবিব হাওলাদার, শিশির হাওলাদার, মানিক হাওলাদার, জালাল হাওলাদার, জাফর হাওলাদার, মোক্তার হাওলাদার, আকতার হাওলাদার.আনোয়ার হাওলাদার রেজাউল হাওলাদার সহ ১৩জন শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আতœসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন। বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান আসামীদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ১৩জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।