এবার বন্ধ হলো স্বায়ত্তশাসিত-আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণ

এবার বন্ধ হলো স্বায়ত্তশাসিত-আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণ

Social Share Now

এবার বন্ধ হলো স্বায়ত্তশাসিত-আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণ। বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে এবার সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-সরকারি এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল ব্যয়ের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করেছে সরকার। এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।
সোমবার (১৬ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এক পরিপত্রে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি কর্মকর্তাদের সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ স্থগিত করা হয়। করোনার সময়েও কিছুদিন সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত রাখা হয়।
গত বৃহস্পতিবার অর্থ বিভাগের জারি করা পরিপত্রে বলা হয়, করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল প্রকার এক্সপোজার ভিজিট, স্টাডি ট্যুর, এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ এবং কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।
সোমবারের পরিপত্রে এই বিধি-নিষেধ সকল সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-সরকারি এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিলের অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় আমদানি বাবদ প্রচুর ব্যয় হচ্ছে। এর প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার বিভিন্নভাবে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমাতে চাচ্ছে। বিলাসপণ্যের আমদানি কমাতে এলসি মার্জিন বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের বিষয় রয়েছে সেগুলো দেরিতে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।