জাজিরার একটি খুনের মামলায় ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

জাজিরার একটি খুনের মামলায় ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

Social Share Now


জাজিরা থানার সামাদ মাদবর হত্যা মামলায় ১২জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন শরীয়তপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সোমবার দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন বিচারক। এতে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আসামী পক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ
আদালতে আপিল করবেন।
আদালত সূত্র ও মামলার বিবরনে জানা যায়, জাজিরা উপজেলার খোড়াতলা সাকিনের আঃ সামাদ মাদবর ও একই উপজেলার আজিজুল মাদবর দের সাথে জমিজমা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসে। এ সংক্রান্তে উভয়ের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলছিল। ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর রাত অনুমান সাড়ে ৭ টায় জাজিরা উপজেলার খোড়াতলা সাকিনের আঃ সামাদ মাদবর ও তার ছেলে শাহ জালাল মাদবর সদর উপজেলার গঙ্গানগর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে জাজিরা উপজেলার খোড়াতলা সাকিনের কিতাব আলী মাদবর এর পতিত জমিতে পৌছিলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ আজিজুল মাদবর ও তার সহযোগিরা ধারালো রামদা ,ছেনদা সহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সামাদ মাদবরদেরকে হত্যা করার জন্য পথরোধ করে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার সাথে থাকা ছেলে শাহ জালাল তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে বাপের রক্ত দেখে ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে কিছু দুর পর জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। এ সময় সামাদ মাদবরের আতœচিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা আহত সামাদ মাদবরকে ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে সামাদ মাদবর মারা যায়। এ ঘটনায় সামাদ মাদবরের ছেলে শাহ জালাল বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামী করে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এ মামলাটি সিআইড তদন্ত করে ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার ১১ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে সোমবার শরীয়তপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান মামলার আসামী আজিজুল মাদবর, রফিক মাদবর, লিটন মাদবর, মান্নান মাদবর, আঃ আলীম মাদবর, মফিজ মৃধা, তারন ফরাজি, নুরুল হক মাদবর,জুলহাস মাদবর, আলা উদ্দিন ফকির, আঃ বারেক মাদবর, মনির মাদবর কে পেনাল কোড ৩০২ ধরায় সন্দেহাতীত ভাবে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে। এ মামলায় আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিনিয়র এড. মোঃ শাহ আলম। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারী কৌশলী পিপি এড. মীর্জা হজরত আলী।
এ ব্যাপারে আসামী পক্ষের এড. মোঃ শাহ আলম বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। এ রায়ে র বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
সরকারী কৌশলী এড. মীর্জা হজরত আলী বলেন, আমরা বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়ে আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।

Leave a Reply