স্টাফ রির্পোটার লটারির মাধ্যমে সারা দেশের সকল থানার ওসিদেরকে একযোগে বদলী করার কারনে জাজিরা থানার ওসি মাইনুল ইসলামকে চট্রগ্রাম রেঞ্জে বদলী করা হয়েছে। জাজিরা থানার ওসি মাঈনুল ইসলাম এর বদলীর খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারন জনগন তথা আইন মান্যকারী মানুষের মনে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে ওসি মাঈনুলকে বদলী করে দেয়ার কারনে জাজিরা তথা শরীয়তপুরের মানুষ কষ্ট পেয়েছেন। কেননা ওসি মাঈনুল ছিলেন আওয়মীলীগের জম। তিনি ছিলেন আওয়ামীলীগের জন্য আতঙ্ক। আওয়ামীলীগের ডেবিলদেরকে গ্রেফতার করে তিনি জাজিরাকে একটি শান্ত এলাকায় পরিনত করতে চেয়েছিলেন। অনেক সময় দেখা গেছে আওয়ামীলীগের লোকজন গ্রেফতার করার পর বিএনপি নামধারী ও জামাত পরিচয়ে তাদেরকে তদবীর করেছে চাড়িয়ে নিতে। তদবীর না শোনার কারনে ঐ সকল নামধারী বিএনপি নেতারা মাঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে নানা রকম কুৎসা ছড়াতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। যাদের তদবীর তিনি শোনেননি তারাই তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রেফতার বানিজ্য বা ভাল মানুষকে গ্রেফতার করে টাকার ধান্দার অভিযোগ তুলেছেন। অথচ জাজিরা থানার ওসি মাঈনুল ইসলাম কে তেজগাও থানা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারী মিথুন ঢালি হত্যার হুমকি দিয়েছিল বলে তিনি থানায় জিডি ও করেছেন।প্রকৃতপক্ষে তিনি জাজিরা থানায় যোগদান করার পর আওয়ামীলীগ তথা ফ্যাসিস্টদের দোসররা এলাকায় আসতে পারেনি। আসলেই তিনি কঠোর হাতে দমন করতেন। একটু সুযোগ পেলেই পতিত সরকারের দোসররা এলাকায় বোমাবাজি ,অগ্নিসংযোগ, নাশকতা সহ পতিত সরকারের পক্ষে মিছি মিটিং করার চেষ্টা করতেন। তিনি তা করতে দিতেন না। এ কারনে ঐ সকল দোসররা খুশি হতে পারেনি। এ কারনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা রকম মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। তবে সাধারন মানুষ তার প্রতি খুশি ছিল। জাজিরা সহ শরীয়তপুরের মানুষ তার মত একজন দক্ষ ও দেশপ্রেমিক ওসি শরীয়তপুরে চায়। জাজিরা থানার ওসি মাঈনুল ইসলাম এর কর্মের জন্য বর্তমান সরকার তাকে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরস্কৃত করেছেন। এরপর শরীয়তপুর জেলায় তিনি দুইবার শ্রেষ্ট ওসি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। শরীয়তপুর জেলায় তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে তিনি ছিলেন দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিক । তাকে শরীয়তপুরের মানুষ ফিরে পেতে চান।