নড়িয়ায় এনজিও র দেনার দায়ে ব্যবসায়ীর আতœহত্যা

নড়িয়ায় এনজিও র দেনার দায়ে ব্যবসায়ীর আতœহত্যা

Social Share Now

নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের বাহের কুশিয়ারা গ্রামের লেপ তোষকের ব্যবসায়ী আলী আজগর বেপারী দীর্ঘদিন যাবত ঘড়িষার বাজারে ব্যবসা বানিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য স্থানীয় আশা, ব্রাক, সাজেদা ও নুসা নামক এনজিও থেকে কমপক্ষে ৯ লাখ টাকা ঋন করে। প্রতিমাসে ৮০/৯০ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। ঋন গ্রহনের পর থেকে কষ্ট করে কিস্তি পরিশোধ করে আসলেও চলতি মাসে কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে বেড়ায়। গতকাল শুক্রবার সে সন্ধ্যার পর থেকে নিখোজ। তাকে খোজা খোজি করে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার ভোরে স্থানীয়রা তাকে বাড়ির পাশে আমগাছের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাস দেয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। থবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করতে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। তার পরিবারের ধারনা দেনার দায়ে সে আতœহত্যা করতে পারে।
মএ ব্যাপাওে তার স্ত্রী শিল্পি বেগম বলেন, আমার স্বামী ব্যবসা করে ভালই ছিল। ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য বিভিন্ন এনজিও থেকে ৯ লাখ টাকা লোন করে। এ লোনের কিস্তি রীতিমত পরিশোধ করতে পারেনি। পাওনাদারদের কিস্তির চাপে সে পালিয়ে বেড়াতো। গত শুক্রবার সন্ধা থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ভোরে বাড়ির পাশের আমগাছের সাথে গলায় ফাস দেয়া ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে।
মৃতের বড় ভাই আক্কাছ বেপারী বলেন, আমার ভাই আশা, নুসা, সাজেদা ও ব্রাক থেকে ৯ লাখ টাকা লোন করে প্রতিমাসে ৮০/৯০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। চলতি মাসে কিস্তি দিতে ব্যর্থ হয়ে পাওনাদারের চাপে আতœহত্যা করেছে বলে আমাদের ধারনা।
নড়িয়া থানার ওসি তদন্ত আবির হোসেন বলেন, শুনেছি লোনের চাপে সে পালিয়ে বেড়াতো। আমরা তাকে তার বাড়ির পাশে আমগাছের সাথে গলায় ফাস দেয়া ঝুলন্ত অবস্থা পেয়েছি। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।

Leave a Reply