নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে নির্ধারিত টেক্সের চেয়ে ৫০ গুন বেশী আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদায়কৃত টেক্সকের টাকা ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত হিসাব নাম্বারে জমা না দিয়ে নিয়োগকৃত পৌর পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামের এন জি ও আতœসাত করেছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ বর্তমান চেয়ারম্যানের যোগসাজসে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আতœসাত করেছে তারা। অতিরিক্ত টেক্স আদায়ের কারনে পন্ডিতসার বাজারে এনজিও কর্মীদের গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে । উপায়ান্তু না দেখে চেয়ারম্যান নিজেই এনজিও কর্মীদের বিরোদ্ধে নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন । অপরদিকে স্থানীয়রা শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক , নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্œ জায়গায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের শাহআলম তপাদার মো:ইদ্রিস সৈয়াল, মো: দুলালমিয়া ও নড়িয়া থানা সুত্রে জানাযায়, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সকল জনসাধারনের উপর খানা প্রতি বিভিন্ন অংকের টেক্স নির্ধারন করা হয়। সাতক্ষিরা জেলার পৌর পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও কে দায়িত্ব দেওয়া হবে। উত্তেলিত টাকা ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন
পরিষদ পাবে ৮০ শতাংশ, এনজিও পাবে ২০ শতাংশ । এ মর্মে চুক্তি করাহয়েছে। এম আইএস ম্যানুয়েল তালিকা অনুযায়ী খানা প্রতি সর্বনি¤œ ১৫০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা নির্ধারন করাহয়। সেখানে পৌর পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (এনজি ও) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল রানাসহ তার কর্মীরা ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা । আদায় করার সময় গ্রাহককে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রশিদ দিলেও মুড়ি বই ও খাতায় কম টাকা লিখেছে। বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ হলে গত শনিবার ৯জুলাই তারা এনজিও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল রানা ও মাঠকর্মী রাশেদুল ইসলাম কে পন্ডিতসার বাজার এলাকায় রশিদের সাথে মুড়িবইয়ের গড়মিল দেখতে পেয়ে তাদের গনধোলাই দিয়ে নড়িয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। উপায়ান্তু না দেখে ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সরদার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পৌর পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ৯ জনের বিরুদ্ধে নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত সোমবার সোহলরানা ও রাশেদুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও আতœসাতের বিচারের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের বাসিন্দা আলী আকবর বলেন, আমার ঘরের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ১৫০ টাকা টেক্স নির্ধারন করে। কিন্তু আমাকে পরিশোধ করতে হয়েছে ৫ হাজার টাকা।আমি এর বিচার চাই।
ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হারুন মালত, মোঃ মামুন হাওলাদার,মোঃ মনির হোসেন বলেন,আমাদের কাছ থেকে চেয়ারম্যানের যোগসাজসে এনজিও কর্মীরা অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। সে টাকা মুড়ি বইয়ে না উঠিয়ে আতœসাৎ করেছে। তাই আমরা বিচারের দাবীতে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত আবেদন করেছি।
ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সরদার বলেন,বিভিন্নইউনিয়নপরিষদের চেয়ারম্যানরা এ এনজিও কেটেক্সের টাকা তোলার দায়িত্ব দিয়েছিল সে কারনে আমরা ও তাদের টেক্স আদায় করার দায়িত্ব দিয়ে ছিলাম। কিন্তু তারা অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কারনে তাদের বিরুদ্ধে আমি নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাশেদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি লোক মুখে শুনেছি। ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাকে কিছু বলেনি।