শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে ১৫ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার নৌ পুলিশ তাদের আটক করে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে। এর আগে শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের ৭দিন করে কারাদন্ডদেওয়া হয়।
জাজিরা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর আশপাশ থেকে জাজিরা ও নাওডোবা পাইনপাড়া এলাকায় পদ্মা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে দিনে ও রাতের আঁধারে একটি চক্র অবৈধভাবে খননযন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিল। এতে পাইনপারা চরের চারটি গ্রাম ভাঙন ঝুঁকিতে পড়ে। পরে জাজিরা উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। ফের গত এক সপ্তাহ ধরে ওই চক্রটি পুনরায় ব্যাপকভাবে বালু উত্তোলন শুরু করে। ঐ দিনে পদ্মা সেতুর ৫০০ মিটার দূর থেকে ২৫টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোল করা হচ্ছিল। আর রাতে সেতুর ২০০ মিটারের মধ্য থেকে বালু উত্তোলন করছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। শনিবার রাতে ঘটনাটি নিয়ে শরীয়তপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তিনি পদ্মা সেতুর কাছ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করে। শনিবার রাত ১১টার দিকে পদ্মা সেতু এলাকার পদ্মা নদীতে অভিযান চালায় জাজিরা উপজেলা প্রশাসন ও নৌ-পুলিশ। বালু উত্তোলন করার অভিযোগে ড্রেজারের শ্রমিক মহসিন হাওলাদার, জুয়েল মিয়া, আশরাফুল সিকদার, আব্দুর রহমান, মোঃ রাজু, সাইদুল ইসলাম, মোঃ কামাল হোসেন, নুর আলী, আক্তার বারি, লিটন মিয়া, মো বারেক,তকদির হোসেন, খোকন হোসেন, স্বপন ঢালী ও বাবুল মুন্সিকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল আটককৃত ১৫ ব্যক্তিকে ৭ দিন করে কারাদন্ড দেয় । রোববার দুপুরে নৌ পুলিশ তাদের জেলা কারাগারে পাঠায়।
এ ব্যাপারে জাজিরা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবরে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৫ ব্যক্তিকে ৭ দিন করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।