আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফ উদ্দিন শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কটির কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন শরীয়তপুর সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ মাসুদুল আলম, গনপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম , বনকর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহম্মেদ সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন।
রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে শরীয়তপুর জেলা লোকজনের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কটি। ২০১৯সালে এ সড়কের কাজটি একনেক বৈঠকে অনুমোদন হওয়ার পর ২০২১ সালে সড়ক ও জনপদ বিভাগ এ কাজের দরপত্র আহবান করে। ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল ইকবাল, মেসার্স সালেহ আহম্মেদ ও মীর হাবিবুল আলম জেবি মাহবুব ব্রাদার্স এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
এর মধ্যে ১ নং ও ৩ নং প্যাকেজ সড়কের জন্য ৩শ ৭০ কোটি ৩ হাজার ৩১৬ টাকা ও এ কাজের মধ্যে রয়েছে কৃতিনাশা নদীর উপর কোটাপাড়া ব্রীজ এবং জাজিরার কাজিরহাট ব্রীজ এ ব্রীজ দুটির জন্য ৫৭কোটি ৯৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। গত ৪ বছরে মাত্র ৫০% কাজ শেষ করেছে। কাজের অত্যন্ত ধীরগতি। যেমন সড়ক তেমন ব্রীজের কাজের ধীরগতি । অর্ধেক করে ফেলে রাখছে ব্রীজ। ২৭ কিলোমিটার সড়কের পুরো সড়কেই খানাকন্দকে ভরা। অতি বৃষ্টির কারনে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাংগনের সৃষ্টি হয়ে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। এর ফলে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জাজিরা টিএন্ডটি মোড় থেকে নাওডোবা পদ্মাসেতুর দক্ষিন প্রান্ত পর্যন্ত সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। মাঝে মধ্যে বড় বড় দূর্ঘটনা ঘটছে।গত জুলাই-আগষ্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরে কাজ বন্ধ করে পালিয়ে যায় ঠিকাদার। ইতোমধ্যে শরীয়তপুরে নুতন জেলা প্রশাসক যোগদান করার পর জেলাবাসির সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মহাসড়কটি নিয়ে কথা ওঠে। এরপর জেলা প্রশাসক সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে এ সড়কে কাজে গতি অনেকাংশেই বেড়েছে । এ কাজের অগ্রগতি দেখতে আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফ উদ্দিন পুরো সড়কটির কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এ সড়কটি জেলার জন্য লাইফ লাইন। একাজটি সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দিয়ে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে এ কাজটি শেষ করবো।
পরিদর্শন শেষে সড়ক ও জনপদ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলে বিগত দিনের সকল সমস্যার পরে ৫ আগষ্টের পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলো পুরো উদ্দ্যোমে কাজ শুরু করেছে। ইতোমধে মোট কাজের ৮৫% ভাগ শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ন কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা রাখি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমি যোগদান করার পর সকল শ্রেণী পেশার মানুষের একটাই দাবী শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসক টি। এ কাজে কোন জায়গায় কি সমস্যা,কার কি দুর্বলতার জন্য কাজের অগ্রগতি আশানুরুপ হচ্ছেনা। সবকিছু সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখলাম। আমি আশা করি পিছনের সব বাদ দিয়ে এখণ থেকে একমিনিট দেরী না করে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সারাক্ষন এ কাজটি চলবে। আশা করছি নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে কাজ শেষ করে জনগনের দুর্ভোগ লাঘর করবো ইনশাআল্লাহ।