শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১জনকে কুপিয়ে হত্যা, বোমার বিস্ফোরন, আহত ৪০

শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১জনকে কুপিয়ে হত্যা, বোমার বিস্ফোরন, আহত ৪০

Social Share Now


শরীয়তপুরের সদর উপজেলা চিকন্দী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান খান (২৩) নিহত হয়েছে। এ সময় শত শত বোমার বিস্ফোরন, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় টেটাবিদ্ধ সহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ৩ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। অন্যান্যদের শরীয়তপুর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের আবুড়া বড় ব্রীজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতের চাচাতো ভাই সবুজ খান ও পালং থানা সুত্রে জানাযায়, সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের আবুড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুর জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক ফোরহাদ খান একই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মরহুম রমিজ খা’র ছেলে মোদাচ্ছের খা সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার দুপুরে মোদাচ্ছের খান চিকন্দী বাজারে গেলে ফোরহাদ খানসহ তার লোকজন মোদাচ্ছের খানকে ধাওয়া করে। এ নিয়ে দু’গ্রæপের উত্তেজনা দেখা দেয়। উভয় গ্রæপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র,শন্ত্র, রামদা ,ছেন দা, টেটা, ভল্লম ও হাত বোমা নিয়ে ধাওয়া পালটা হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রæপ লোকজন আবুড়া বড় ব্রীজের দক্ষিন পাশের সংষর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় টেটাবিদ্ধ আনিছ উদ্দিন খান (৭০),রবিউল খান (৪০), মজিবর খান(৪৮),সনিয়া বেগম (২৪), ইয়াকুব তালুকদার (৪৬), আব্দুল খালেক তালুকদার (৮০), মিন্টু সরদার (৪৩), দিদার সিকদার (৪০), রহিমা বেগম (৪০), তারেক মিয়া (৩০),সুহেল খান(৩৬),রহিম মিয়া (৪০),খবির খান (৫০), সহ অন্তত ৪০ জন মারাতœক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ওয়াহিদুজ্জামান খান (২৩)কে মারাতœক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করে ।
। আহত দের মধ্যে আশংকা জনক অবস্থায় মিন্টু মাদবর ,দিদার সিকদার সহ ৩ জন কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে প্রেরণ করা হয়। বাকিদেরকে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।ঘটনা চলাকালে উভয় গ্রæপের সন্ত্রসীরা শত শত হাত বোমার বিস্ফোরন ঘটায়। আসলাম উদ্দিন খানের বাড়ীতে অগ্নি সংয়োগ সহ ৫টি বাড়ী ঘরে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর করে।এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী সুমি আক্তার বলেন, আমার নিরপরাধ স্বামীকে অন্যায় ভাবে হত্যা করেছে। আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই।
নিহতের বোন হাসিনা বেগম বলেন ,পুলিশের উপস্থিতিতে ফোর হাদ খান , সাইদুল মাদবর ,হাবিবুর মাদবর, আমির হোসেন মাদবর ,মোসলেম মাদবর সহ ৩০/৪০ জন সন্ত্রীরা আমার ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে ।
শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফোরহাদ খান এর সাথে বার বার চেষ্টা করে ও তাকে পাওয়া যায়নি।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে করেছি। সংঘর্ষের ঘটনায় এক জন নিহত সহ অনেকে আহত হয়েছে। এমামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

Leave a Reply