আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এক ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তার
বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ভূমি কর্মকর্তার নাম আব্দুস সালাম খান (৫২)। তার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমানে কর্মরত। সে শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ বালুচরা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরন সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০২০ সালে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কমলেশ মন্ডল ২০১০ সাল হতে আব্দুস সালামের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেন। ঘটনার সময় আব্দুস সালাম নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ছিলেন। দুদকের অনুসন্ধান শুরু হলে জেলা প্রশাসন থেকে তাকে বদলী করে চন্দ্রপুর ইউনিয়নে বদলি করা হয়। বর্তমানে জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নে বদলি করা হয়। সালাম খানের সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলে ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৯ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন করেছেন বলে তদন্তে প্রমানিত হয়। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযাগ্য অপরাধ। এছাড়া তিনি ১২ লাখ ৬১ হাজার ৪৪৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ২০ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় থেকে আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হয়। ১ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুর থেকে মামলা করার জন্য এক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সালাম খান বলেন, আমার আয় বহির্ভূত কোনো সম্পদ নেই। দুদক অনুসন্ধান করেও তা বের করতে পারেনি। আমার যা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে তা আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে দুদকে কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানি না।
মামলার বাদী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার তথ্যপ্রমাণ দুদকের হাতে রয়েছে। দুদকের আইন অনুযায়ী যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে মামলা করা হয়েছে।