সখিপুরের ডাক বাংলো নির্মাণ না করেই ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ , পুনরায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ!

সখিপুরের ডাক বাংলো নির্মাণ না করেই ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ , পুনরায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ!

Social Share Now
জেলা পরিষদের ৭ জন সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০টি প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত রোববার জেলা পরিষদের কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতরুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।এ সময় সখিপুরের ডাক বাংলো নির্মাণ না করেই ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পুনরায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার সত্যতা পেয়েছে দুদক ।
দুদক জানান, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ কার্যালয়ে ৭ জন সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০টি প্রকল্পে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পায় দুদক। রোববার জেলা পরিষদ কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অতিরিক্ত ব্যয় ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক। এরমধ্যে সখিপুরের ডাক বাংলো নির্মাণ না করেই ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পুনরায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় জেলা পরিষদ। এছাড়াও নামে মাত্র গাছ লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় জেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম হোসেন সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। এ ঘটনায় দুদকের পক্ষথেকে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়।
এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের ৭জন সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে আমরা বেশ কিছু অসংগতি পেয়েছি। সখিপুর ডাকবাংলোর নামে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। তবে সেখানে কোনো কাজ হয়নি, পুনরায় আবার সেখানে এক কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমরা সকল অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply