সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হককে গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি

সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হককে গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি

Social Share Now
সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হককে দুর্নীতি ও অপকর্মের জন্য গ্রেফতারের খবর পেয়ে তার নিজ বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের নরকলিকাতা ও চান্দনী এলাকার মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছে। ভুক্তভোগীরা তার উপযুক্ত শাস্তি চান।
সরেজমিন এলাকা ঘুওে ও স্থানীয় মঙ্গল খান জানান, পতিত সরকারের সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক এর বিরুদ্ধে নানা অপকর্ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত সোমবার রাতে তাকে ঢাকার উত্তরা ১৬ নং সেক্টর থেকে গ্রেফতার করে ৭ দিনের রিমান্ড দেয়ার খবর পেয়ে তার নিজবাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের নরকলিকাতা ও চান্দনী এলাকার মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছে। যারা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেনি। তারা এখন আনন্দ অনুভব করছেন। সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় তিনি শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করে অঢেল সম্পত্তির মালিক বনেছেন। এলাকায় বাবা মা এর নামে মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজ করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের জমি জমা জোরপূবর্ক দখল করে নিয়েছেন। কাউকে নামমাত্র টাকা দিলেও অনেকের জমির টাকা দেয়নি। জমি রেজিস্ট্রি ছাড়াই ইমারত নির্মাণ করার অভিযোগ রয়েছে। এ সব ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন আফাজদ্দিন খান, মরহুম নজরুল ইসলাম সাকিদার,লালন, লিটন কাজী ,ভিপি নাজমূল হক বাদল, বাবুল সেক, নুরুল হক সেক, মান্নাস সেক, রিপন সাকিদার সহ অনেকে। এ স্কুল এন্ড কলেজ করতে বহু কোম্পানী ও প্রতিষ্ঠান থেকে শত শত কোটি টাকা চাদাবাজির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সামান্য খাদ্য গুদামের দারোয়ান আবদুল মজিদ বেপারীর ছেলে একেএম শহিদুল হক দুর্নীতির টাকা দিয়ে শরীয়তপুর স্টেডিয়ামের পাশে বাড়ি কিনেছেন, পদ্মাসেতুর কাছে নাওডোবা এলাকায় ইটভাটা করার জন্য তার ভাতিজা ইমরানকে সাথে নিয়ে ৪ বিঘা জমি কিনেছেন, ঢাকা ধানমন্ডি এলাকায় ১৮কোটি টাকা দিয়ে ২টি প্লাট বাড়ি কিনেছেন। নাওডোবা গোলচক্কর থেকে কুতুবপুর যেতে সড়কের পাশে ৩ বিঘা জমি কিনেছে। এছাড়াও ঢাকার রিভিন্ন অভিজাত এলাকায় গোপনে প্রকাশ্যে অনেক জমি জমা কিনেছেন তিনি।,দেশ বিদেশে গাড়ি বাড়ি সহ হাজার হাজার টাকার মালিক বনেছেন এ শহিদুল হক। এলাকায় মাছের ঘের করতে গিয়ে অন্যের জমি জোর করে নিয়ে তাদের পাওনা পরিশোধ করেননি বলে ও অভিযোগ তার ভাতিজা ইমরান বেপারী , ভাই নুরুল হক বেপারীর ও তার বিরুদ্ধে । তারছোট ভাই সোনা চারাচালনী একেএম ইসমাইল হক তার ক্ষমতার প্রভাব দিয়ে ২০১৪ সালে ভোজেশ্বর ইউপির চেয়ারম্যান থেকে নড়িয়া উপজেলার চেয়ারম্যান হয়েছেন ভোট ডাকাতি করে। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে ও একই ভাবে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি ঢাকার পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন সময়ে তার ভাই একেএম ইসমাইল হক ঢাকার এম কোন স্থান নেই যেখান থেকে চাদাবাজি করেননি। চাদাবাজি করে ইসমাইল হক হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।সোনা চোরাচালনী কওে বহু টাকা কামানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ভাইর প্রভাব খাটিয়ে ঢাকায় বাস মালিক সমিতির নেতা হয়ে শত
শত কোটি টাকার মালিক বনেছেন।ইসমাইল ভাইর প্রভাবে নিজের জামাইকে পুলিশের এসআই চাকুরী দিয়েছেন। ইসমাইল হক আওয়ামীলীগের আমলে শরীয়তপুরে ফারুক তালুকদারের ফিলিং স্টেশন দখল করেছেন। নুরুল হক বেপারী ২০১৬ সালে তার ভাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে বিনা ভোটে ভোজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছেন। আইজির ভাতিজা ইমরান বেপারী চাচার প্রভাব খাটিয়ে শত শত কোটি টাকার মালিক বনেছেন। মাদারীপুর জেলা ২ ব্যক্তির থেকে স্থানীয় সুমন সেক এর মাধ্যমে চাকুরী দেয়ার নাম করে ২০লক্ষ টাকা নিয়ে তাদের চাকুরীতো দেয়নি টাকা ও ফেরত দেয়নি । ফলে টাকার শোকে এক ভুক্তভোগী আতœহত্যা করেছেন। চান্দনী এলাকার নুরুল হক সেক এর বাড়ি দখল করে তাদের মালামাল লুটপাট করে নিয়েছে। তাদেরকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। গত তারা ৫ আগষ্টের পর তারা বাড়ি ফিরে আসে। এ সকল অত্যাচার অবিচারের বর্ননা করতে গিয়ে ভুক্তভোগী নুরুল হক সেক কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তারা শহিদুল হক এর এহেন কুকর্ম ও দুর্নীতির উপযুক্ত শাস্তিভাদাবী করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ভুক্তভোগী নুরুল হক সেক বলেন, আমার বাপ দাদার জমিতে আমারা দীর্ঘদিন যাবত বাড়ি করে থাকি। আওয়ামীলীগের আমলে সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক এর প্রভাবে তার ভাই নুরুল হক বেপারী, ইসমাইল হক রেপারী, ভাতিজা ইমরান বোরী আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদের জোর করে ঘর থেকে বের করে মালামাল টাকা পয়সা সোনার গহেনা লুটপাট করে নিয়ে আমাদের কে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর আমরা আমাদের বাড়িতে আসছি।আমরা শহিদুল হকের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে নাজমূল হক বাদল বলেন,সাবেক আইজিপি শহরের পাশে আমাদের জমি প্রভাব খাটিয়ে জবর দখল করেছে। আমার ভাগ্নে লিটন কাজির জায়গা জোর করে দখল করে ইমারত নির্মান করে মার্কেট করেছে। আমরা ভয়ে কোন প্রতিবাদ করতে পারিনি।
শিরিন আকতার বলেন, ছোটবেলা থেকে আমরা চান্দনী এলাকায় আমাদের বাড়িতে বড় হয়ে বসবাস করছি। আইজপি শহিদুল হক এর ক্ষমতার দাপটে আমাদের বাড়ি দখল করে নিয়ে যায়। আমাদের টাকা পয়সা ও মালামাল লুটে নিয়ে যায়। আমাদের মত অনেকের উপর অত্যাচার জুলুম নির্যাতন করেছে। আমার ভাইকে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে আমরা এর তার

Leave a Reply