দুর্ঘটনা এড়াতে ইউপি মেম্বারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

দুর্ঘটনা এড়াতে ইউপি মেম্বারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

Social Share Now

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের লাটিমী রাস্তার মাথা সড়ক দুর্ঘটনার জন্য একটি বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে লাটিমী রাস্তার মাথায়। মুলত মহাসড়কের এপাশ থেকে ওপাশ পারাপারেই এসব দুর্ঘটনা ঘটে। ফুটওভার ব্রীজ থাকলেও জনসচেতনতার অভাবে এসব ব্রীজ ব্যবহার না করে ঝুকিপূর্ণভাবে রাস্তা পার হয় মানুষ। ফলে নিয়মিতই সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ১৩ই মে রাস্তা পারাপারের সময় মৃত্যুবরণ করেন এনামুল হক নামীয় এক ব্যক্তি। তিনি আসন্ন ১৫ই জুন উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী।
লাটিমী রাস্তার মাথায় রাস্তা পারাপারে নিয়মিত দুর্ঘটনা বন্ধে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাহাদাত হোসেন শিমুল। গত ১৩ই মে’র সড়ক দুর্ঘটনার পরদিন থেকেই তিনি লাটিমী রাস্তার মাথা এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশের ডিভাইডারের অন্তত ১০০ ফুট এরিয়ায় প্লাষ্টিকের নেট লাগিয়ে সাময়িক মানুষের চলাচল বন্ধ করেছেন। এছাড়াও রাত্রে রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থে ঝুকিপূর্ণ এসব এলাকায় লাইটিং, সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহার করে রাস্তা পারাপারে অনুরোধ জানিয়ে ফেস্টুন লাগিয়েছেন ব্যক্তিগত অর্থায়নে।
লাটিমী রাস্তার মাথায় নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে শিমুল মেম্বারের এসব ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। মানুষের চলাচল বন্ধে দুই মহাসড়কের মাঝখানে প্লাষ্টিকের নেট লাগানোর উদ্যোগের ফলে মহাসড়কের এ অংশে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে বলেও মনে করেন এলাকাবাসী।
এসময় শাহাদাত হোসেন শিমুল এ প্রতিবেদককে জানান, গত ১৩ই মে রাস্তা পারাপারে মৃত্যুবরণ করা সম্ভাব্য মেম্বার পদপ্রার্থী এনামুল হক আমার সহকর্মী। আসন্ন নির্বাচনে একসাথেই প্রতিদন্ধীতা করার কথা। কিন্তু আকষ্মিক সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুর ঘটনা আমাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।
এছাড়াও ইতোপূর্বেও বিভিন্ন সময় লাটিমী রাস্তার মাথায় রাস্তা পারাপারে অনেক মানুষ মারা যায়। ফুটওভারব্রীজ থাকলেও খুব একটা কেউ ব্যবহার করেনা।
দুই মহাসড়কের মাঝখানে প্লাটিকের তার লাগিয়ে মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছি এবং রাত্রীকালে যাত্রীদের যাতায়াত সুবিধার্থে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। যাতে করে মানুষ ফুটওভারব্রীজ ব্যবহার করে রাস্তা পারাপার হয়। পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন সচেতনতামূলক স্লোগানের সমন্বয়ে ব্যানার স্থাপন করেছি। এতে করে সবাই সচেতন হয়ে ফুটওভারব্রীজ ব্যবহার করবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

Leave a Reply