নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কাজি কান্দি গ্রামের কামাল বেপারী হত্যাকারীদের বিচার দাবীতে এলাকাবাসি বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের পক্ষপাত ভুমিকার জন্য অভিযোগ করেছেন। রোববার সকাল ১১টায় নিহত কামাল বেপারীরর কবরের পাশ দিয়ে শরীয়তপুরগামী রাস্তায় এ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নিহতের স্বজনেরা। স্থানীয় নারী পুরুষেরা এ বিক্ষোভে অংশ নেয়।বিক্ষোভকারীরা খুনিদের ফাসি চায়। তারা বলেন খুনিদের বাড়ি,ঘর ও খুনিদেও রক্ষা করতে পুলিশতাদেও বাড়ি পাহারা দিচ্ছে।অথচ একজন খুনিকে ও তারা গত তিনদিওেন গ্রেফতার করেনি।তারা খুনি আলী হোসেন সহ সকল খুনির বিচার চায়।
উল্লেখ্য যে রাজনগর কাজি কান্দি গ্রামের াালী হোসেন সরদার ও নিহত কামাল বেপারীর মওেধ্য অনেকদিন যাবত খালের উপর সাঁেকা দিয়ে চলাচল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন গত শুক্রবার সকালে কামাল বেপারী বাজার করতে আন্ধারমানিক বাজারে যান। এ দিকে বাড়িতে বিবাদমান দুপক্ষোর বাড়ির মহিলাদের মধ্যে ঐ সাকো নিয়ে ঝগড়া হয়। এ বিষয়ে কামাল বেপারীর কোন কিছুই জানা ছিল না। সে সকাল অনুমান সাড়ে ৯টা থেকে ১০টায় আন্ধার মানিক বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আলী হোসেন সরদারের বাড়ির নিকট পৌছিলে আলী হোসেন সরদার,ইদ্রিস সরদার মনির সরদার সহ কতিপয় নারী পুরুষ মিলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কামাল বেপারীকে গতিরোধ করে মুখে গামছা দিয়ে ধরে নিয়ে আটকে রেখে বেদম মারপিট করে। হত্যাকারীরা কামাল বেপারীকে হাতুড়ি, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, টেটা, দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নির্মম ভাবে হতক্যা করে। খবর পেয়ে কামাল বেপারীর মেয়ে ,মা ও স্ত্রী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবসস্থায় উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে ঢাকায় প্রেরন করেন। ঢাকায় হাসপাতলে পৌছানোর আগেই সে মারা যায়। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ঘটনার তিনদিন পর আজ রোববার নিহত কামালের স্ত্রী মাকসুদা বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামী করে নড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দাখিল করেছে।এদিকে নিহত কামালের মা ও মেয়েরা কবরের পাশে আহাজারি করছে। তারা কামাল হত্যাকারীদের ফাঁসি চান।
এ ব্যাপারে নিহত কামালের মেয়ে সুমাইয়া বলেন, আমার বাবাকে একটি সাকো দিয়ে চলাচল নিয়ে বিরোধের কারনে আলী হোসেন সরদার ,ইদ্রিস সরদার, মনির সরদার সহ নারী পুরুষ মিলে ২৫/৩০ জনে মিলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমার বাবা পানি খেতে চাইছে তাকে পানি খাইতে দেয়নি। আমরা আমার বারার হত্যাকারীদেও ফাসি চাই।
নিহতের শ্যালিকা সালমা বলেন, আমার ভগ্নিপতিকে সরদারবাড়ির লোকজন নির্মম ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা খুনিদের ফাসি চাই। পাশপাশি পুলিশের রহস্যজনক ভুকিার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যারা আমার ভগ্নিপতিকে খুন করেছে। পুলিশ তাদেও বাড়ি পাহারা দিচ্ছে। আমরা কিছু বললে আমাদেরকে ইল্টো খারাপ কথা বলে।
এ ব্যাপারে কর্তব্যরত পুলিশের এ এস আই নিজাম বলেন, ঘটনার পরে এলাকায় শাস্তি শৃংখলঅ বজায় রাখতে আমরা এলাকায় পাহারা বসিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।