শরীয়তপুর প্রতিনিধি \ জাকের পার্টির মহাসচিব মোঃ শামীম হায়দার বলেন, এবারের নির্বাচনে রাজনীতিকে যারা হাতিয়ার হিসেবে দেখে তার যেন অবসান হয়। রাজনীতি যেন ক্ষমতার হাতিয়ার না হয় । এ রাজনীতিতে যারাই ক্ষমতায় আসুক তারাই নেতৃত্ব দেক। যারা জনগনকে ভালবাসে দেশকে ভালবাসে। দেশ এবং জনগন তার কাছে প্রথম এবং শেষ কথা জীবন যাবে কিন্ত ১ কোটি মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিবে না।যাতে স্বাধীনতা
সার্বভৌমত্য অখন্ডতা সংহতি তার জীবনের চাইতে মূল্যবান হবে। তিনি আজ শনিবার দুপুরে শরীয়তপুর জেলায় প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সভায় শহীদ মিনার সংলগ্ন মাঠে জেলা জাকের পার্টি কতৃক আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেছেন। এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত মহাসচিব মাহবুবুর রহমান হায়দার,স্থায়ী কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য শেখ নজরুল ইসলাম লিটন , স্থায়ী কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম রবিমহ অনেকে।জেলা জাকের পার্টির সভাপতি বাদল কাজির সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ,উপজেলা,পৌরসভার নেতৃবৃন্দসহ শত শত নারী নেতাকর্মীরা। মহাসচিব বলেন,আমরা বিরাজমান পরিস্থিতি অত্যন্ত যুক্তি সংগত ও ন্যায় সংগত কারনে ১৮ কোটি মানুষের আশা আকাংখার প্রতীক ,শ্রদ্ধা আন্তরিকতা এবং দায়বদ্ধতা থেকে জেলা ও মহানগর গুলোতে আমরা সফর করছি। ১৮কোটি মানুষ যে স্বপ্ন স্বাধ নিয়ে অপেক্ষা করছে তা বাস্তবায়নে এবং তার অগ্রযাত্রায় কয়েকটি প্রবাহ কয়েকটি উপাদান আছে। যেগুলো দেখা জরুরী অপরিহার্য। তিনি বলেন, ১৮ কোটি মানুষ শান্তি শৃংখলার পক্ষে থাকতে চায় । তারা যাই রোজগার করুক ঘরে বসে খাবার হিসেবে গ্রহন করুক। ১৮ কোটি মানুষ শান্তি , নিরাপত্তা ও স্বস্তি চায়। অর্ন্তবতী সরকারকে এ বিষয়ে জোর দিতে হবে। জনজীবনে নিরাপত্তা শান্তি শৃংখলা ও স্বস্তি ফিরে আনতে হবে ও নিশ্চিত করতে হবে। তার পরে মানুষের আহার মানুষের রোজগার দৈনন্দিন জীবনের চাকা যেন স¦চল থাকে । আমাদের দেশের মানুষের বেশী উচ্চ আশা নেই। তবে প্রতিদিন যেন অন্তত মোটা ভাত, ডাল ও কাপড় দিয়ে সে যেন স্বাচ্ছন্দে থাকতে পারে এটা ১৮ কোটি মানুষ চায়। মহাসচিব বলেন, নিত্যপয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি এতটাই অসহনীয় হয়ে যাচ্ছে যে সংস্কারের যে একটি মহান আশা ব্যাহত হতে পারে। কাজেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি তার রাস টানতে হবে।যেভাবেই হোক এ সিন্ডিকেট প্রথা ভেঙ্গে দিয়ে অধিক মুনাফা মধ্যস্বত্ত¦ভোগীদের দৌরাতœ সম্পূর্ন ভাবে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। আজকের অর্থনীতিকে ঘুরে দাড়াতে হবে।এ অর্থনীতি ঘুরে দাড়াতে হলে আমাদেরকে যে বিষয়গুলোকে জোর দিতে হবে সেটা হচ্ছে অর্থনৈতিক খাতে যে অনিয়ম ,লুটপাট হয়েছে । তার ভুল গুলো বন্ধ করে দিতে হবে।