শরীয়তপুরের ডামুড্যায় রাস্তার পার্শ্বে ১০ ব্যাগ ককটেল  পাওয়া গেছে

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় রাস্তার পার্শ্বে ১০ ব্যাগ ককটেল পাওয়া গেছে

Social Share Now

শরীয়তপুর প্রতিনিধি \ শরীয়তপুরের ডামুড্যায় রাস্তার পার্শ্বে ১০ ব্যাগ ককটেল পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা বাহিনী পাহারায় রেখে সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ টীম কে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এসে বোমা নিস্ক্রিয় করবে বলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী জানিয়েছেন।
পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন ,ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের আকালবরিশ
এলাকায় নাগেরপাড়া-কালকিনি রাস্তার পার্শ্বে ঝোপের ভিতর ১০টি কালো ব্যাগ ভর্তি ককটেল পাওয়া গেছে। কে বা কারা এ সকল ব্যাগ ভর্তি ককটেল ঝোপের মাঝে রেখে গেছে তা কেউ বলতে পারছে না। সোমবার ভোর ৫টায় স্থানীয় মুসল্লিরা মসজিদ থেকে ফজর নামাজ শেষে বের হয়ে নাগেরপাড়া-কালকিনি রাস্তায় কিছু অপরিচিত লোকজনকে আনাাগোনা করতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। এ সময় স্থানীয়রা রাস্তায় খোজাখুজি করে ঝোপের মাঝে কয়েকটি কালো ব্যাগে হাতবোমা সাদৃশ্য দেখতে পায়। তখন তারা ৯৯৯ তে পুলিশকে কল করে। সকাল অনুমান ৯টায় ডামুড্যা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ১০টি কালো ব্যাগ ভর্তি ককটেল দেখতে পায়। তারা ঐ সব ব্যাগ পাহারায় রাখে। এরপর পুলিশ সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে সাভার সেনানিবাসে বোমা নিস্ক্রিয় করতে তাদের এক্সপার্ট টীম খবর দেয়। এক্সপার্ট টীম এসে বোমা নিস্ক্রিয় করবে বলে পুলিশ জানায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পাহারায় রয়েছেন । পুলিশের ধারনা কালকিনি এলাকায় গত রোববার মারামারি হয়েছে। সেখানে মারামারি করতে এ সব বোমা আনা হতে পারে। পুলিশের বেরিকেট থাকায় ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীরা যেতে না পেরে রাস্তার পার্শ্বে বোমা ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় আকালবরিশ এলাকার রাজিব হোসেন বলেন, ভোরে আমরা নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে কিছু অপরিচিত লোকজনকে রাস্তায় আনাগোনা করতে দেখে রাস্তায় এস খোজাখুজি করে কয়েকটি কালো ব্যাগে ককটেল সাদৃস্য কিছু দেখতে পেয়ে ৯৯৯ তে পুলিশ খবর দেই। এরপর পুলিশ আসে। সেনাবাহিনী আসে। তারা এসে বোমা ভর্তি ১০টি কালো ব্যাগ খুজে পায়। সেনাবাহিনীনি নিস্ক্রিয় দল এসে এ সব নিস্ক্রিয় করবে। আমরা এলাকাবাসি আতংকে আছি।
এ ব্যাপারে ,ভেদরগঞ্জ সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার মাঃ মুসফিকুর রহমান, বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ১০টি ব্যাগ ভর্তি ককটেল দেখতে পেয়ে পাহারায় রেখে সেনাবাহিনীকে খবর দেই। সেনাবাহিনীর এক্সপার্ট টীম এসে এ সব নি¯্ক্িরয় করবে। আমাদের ধারনা কালকিনি এলাকায় গত রোববার মারামারি হয়েছে। সেখানে মারামারি করতে এ সব বোমা আনতে পারে। পুলিশের বেরিকেট থাকায় ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীরা যেতে না পেরে রাস্তার পার্শ্বে বোমা ফেলে পালিয়ে যায়।

Leave a Reply