জাজিরা থানার ওসির ঝুলন্ত মরদেহ, ফরেনসিক রিপোটের জন্য ঢাকা প্রেরন ্
শরীয়তপুরের জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জাজিরা থানা ভবনের দোতলায় রেস্ট রুমে নিজ কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। তার গ্রামের বাড়ী বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলায়। তার দুটি স্ত্রীসহ দুটি সন্তান রয়েছে। স্ত্রী শরিফু নেছ।২ মেয়ে রাজিয়া, রাফিয়া জমজ ঢাকার ভিকারুন নেছা নুন স্কুলে পড়ে। সে দীর্ঘ দিন যাবত হতাশায় ভুগছেন । মরদেহ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওসি আল আমিন আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
জাজিরা থানা সুত্রে জানা গেছে, বৃহঃস্পতিবার দুপুরে জাজিরা থানার ওসি তদন্ত মোঃ আব্দুস সালাম থানার দ্বিতীয় তলার ওসির রুমের সামনে গিয়ে দেখে দরজা খোলা তবে চাপানো ছিল। এরপর দরজা ধাক্কা দিয়ে রুমে ঢুকে রুমের উত্তর পাশের্^ জানালার গ্রিলের সাথে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমিনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে সে ডিউটি অফিসার সহ অন্যদের খবর জানায়। ঢাকা থেকে ফরেনসিক টীম আসার পর তার লাশ নামিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম ও জেলার পুলিশ কর্মকর্তা ও ডাক্তার পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের ওসি আল আমিনের ভায়রা ভাই এ্যাডভোকেট আব্দুর রব বাবুল বলেন, গত কয়েকদিন আগে স্ত্রী সন্তানরা তার কর্মস্থল জাজিরা এলাকায় বেড়াতে আসে। তাদের সাথে তার সু সম্পর্ক ছিল। হতাশা গ্রস্থতা থেকেই সে আতœ হত্যা করে থাকতে পারে।
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ শরীফ -উজ জামান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে ফরেনসিক টিম কে জানানোর পর তারা ঢাকা থেকে এসে লাশ নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। পরিবার থেকে জানানো হয় সে বেশ কিছু দিন যাবৎ হতাসা গ্রস্থ ছিল। তাই সে আতœ্যহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোটৃ পেলে পুরাপুরি বলা যাবে। তিনি ২০০৭ সালে পুলিশের চাকুরীতে যোগদান করেছেন। এরপূর্বে তিনি বরগুনা থানায় ছিলেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বও জাজিরা থানায় যোগদান করেছেন।