বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন,-বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হলে এদেশের যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি যুবকদের অভিনন্দন ও সেলিউট জানাই। টানা সাড়ে ১৫ বছর আামাদের উপর অনেক জুলুম চলেছে। আমরা আন্দোলন করেছি ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেশটাকে মুক্ত করার জন্য। আমরা রাজনীীতবিদরা গত সাড়ে ১৫ বছরে পারিনি।কিন্তু সেই সমস্ত দুঃখ যাতনা ,জুলুম একত্রিত হয়ে যে শক্তি তৈরী হয়েছিল আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্বে সেই শক্তির বলে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে ফ্যাসিবাদের কবল থেকে। তিনি বলেন এদেশের ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতকে কাজে লাগিয়ে আগামীর বাংলাদেশকে মানবিক বাংলাদেশ ,উন্নয়নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ৫৩ বছর চলে গেছে । এ ৫৩ বছরে জাতির যে প্রত্যশা ছিল তা পূরন হয়নি। তিনি আরো বলেন এদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তা কারো বাপের টাকা নয়। এটাকা জনগনের টাকা। বিদেশ থেকে যে ঋনের টাকায় উন্নয়ন করা হয় সে ঋণের বোঝা আজকে জন্ম নেয়া শিশুর মাথায় ও
পড়ে। ১০টাকার কাজের জায়গায় ১০০টাকার বাজেট করা হয়। সে কাজের সময় ক্ষেপন করে জনদূভোগ সৃষ্টি করা হয়। সে কাজে বাজেট বৃদ্ধি করে সে টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে বেগম পাড়া বানিয়েছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে তারা নিজেরা ও পালিয়ে গেছে।তারা পালিয়ে গেলেন কেন ? তারা দুর্নীতি অপকর্মের জন্য বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিকে ও নিরাপদ মনে করেনি। তাই তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আর যারা যেতে পারেনি তারা প্রশাসনের জালে ধরা পড়ছে। যুদ্ধ অপরাধ মামলার মিথ্যা অভিযোগে আমাদের ১১জন নেতাকে আমাদের বুক থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে । এরমধ্যে ১০জন বিদায় নিয়েছে। ১জন যিনি বেচে আছেন এটিএম আজহারুল ইসলাম তিনি ও ফ্যাসিবাদের নির্য়াতনের স্বাক্ষী হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তাকে এখনো মুক্ত করা যায়নি। এ জন্য আমি সরকারকে বলেছি আমাকে গ্রেফতার করে কারাগারে দেয়া হোক। তাকে কারাগারে রেখে আমি বাইরে থাকতে চাইনিা।
তিনি আজ সোমবার সকাল ৯টায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সামনে স্বাধীনতা মাঠে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ্এ সব কথা বলেছেন। তিনি বলেন ইতিহাস থেকে সকল রাজণীতিবিদ শিক্ষা নেয়া উচিৎ ।স্বৈরচাররা কখনো ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না।তারা ইতিহাসের আস্থা কুড়ে নিপতিত হয়। এখন সময় এসেছে সকল জাতি ধর্ম বর্ণ সকলে মিলে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সৎ মানুষের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা । শরীয়তপুর জেলা নায়েবে আমীর কেএম মকবুল হোসাইন এর সভাপতিত্বে পথসভায় আন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী সহ সেক্রেটারী জেনারেল সাবেক এমপি এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, শরীয়তপুর জেলার সাবেক আমীর মাওলানা খলিলুর রহমান, শরীয়তপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাঃ আঃ রব হাসেমী,শরীয়তপুর জেলার ছাত্র শিবির সভাপতি মোঃ সাখাওয়াত কাওসার। এর পূর্বে বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলাম আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান আজ সকাল ৮-৪০ মিঃ সময় একটি হেলিকপ্টার যোগে ভেদরগঞ্জ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরন করে একটি গাড়িতে করে সভাস্থলে যান। সেখানে তিনি প্রধান অতিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সভাশেষে তিনি প্রায়ত শিবির সদস্য শহীদ বেলাল হোসেনদের বাড়ি ভেদরগঞ্জের মহিষকাদি গ্রামে গিয়ে তার কবর জিয়ারত করেন এবং শহীদ বেলাল এর স্বজনদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলাম আমীর এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারে যোগে সখিপুর থানার চরভাগায় গিয়ে একটি পথ সভায় যোগদান করেনে।