শরীয়তপুরের বিভিন্ন ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জরিমানা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা। বিক্ষোভ মিছিলে সারা জেলায় কর্মরত প্রায় হাজার ইটভাটা শ্রমিক ও ভাটা মালিকরা অংশ গ্রহন করেন। সকালে শরীয়তপুর শহরের পৌরসভার মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছি শুরু হয়। মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়। বিক্ষোভ শেষে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আঃ জলিল খান, যুগ্নসাধারন সম্পাদক আজাহার সরদার ,আনোয়ার হোসেন তালুকদার,অলি অলিল খান,বাবুল মোল্যা। সমাবেশে বক্তারা ঈদুল ফিতর পর্যন্ত জেলার সকল ইটভাটা চালু রাখার দাবি জানিয়ে বলেন, জিগজ্যাগ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করা, জিগজ্যাগ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে হয়রানি বন্ধ করা, ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও মাটি কাটতে জেলা প্রশাসকের প্রত্যয়ণপত্র নেয়ার বিধান বাতিল করতে হবে।
ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আঃ জলিল খান বলেন, ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এর সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। জেলার অন্তঃত ২০ হাজার মানুষ ইটভাটায় শ্রম দিয়ে তাদের সংসার চালায়। সরকার চাইলেই আকস্মিক ভাবে এসব ইটভাটা বন্ধ করে দিতে পারে না। সমাবেশ শেষে ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আঃ জলিল খানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা, এবং পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।