জেলেদের খাদ্য সহায়তার চালের বস্তায় ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’স্লোগান, এলাকায় তোলপাড়।

জেলেদের খাদ্য সহায়তার চালের বস্তায় ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’স্লোগান, এলাকায় তোলপাড়।

Social Share Now


শরীয়তপুরের চারটি উপজেলার ১৫,৪৪৬ জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে দেওয়া চালের বস্তায় লেখা “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” স্লোগান ঘিরে তুমুল আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। বিতর্ক বাড়তে থাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ চালের বস্তা থেকে ওই লেখা মুছে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ৩০ কিঃ মিঃ এলাকা মাছের অভয় আশ্রম ঘোষনা করায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জেলেদের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের জন্য সরকার ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত চার মাস ধরে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দিচ্ছে।এ চাল সরবরাহ করা হচ্ছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অধীন খাদ্যগুদাম থেকে এবং ৩০ কেজির বস্তায় প্যাক করা হচ্ছে। সাধারণত এসব বস্তায় খাদ্য অধিদপ্তরের মনোগ্রাম ও অন্যান্য তথ্য ছাপা থাকে। তবে এবার ভেদরগঞ্জ উপজেলার তারাবুনিয়া ও গোসািরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নে দেখা গেছে বস্তাগুলোর গায়ে লেখা রয়েছে— “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” “খাদ্য অধিদপ্তর” নেট ওজন: ৩০ কেজি, ফেব্রুয়ারি ২০২৪” আফিল জুট উইভিং মিলস লিমিটেড”। জেলেদের মাঝে চাল বিতরণের সময় বস্তার উপর লেখা স্লোগান দেখে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফলে সরকারি কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন।

ভেদরগঞ্জের দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের সচিব আবুল হোসেন বলেন, খাদ্যগুদাম থেকে চাল সরবরাহ করা হয়, কিন্তু বিতরণের সময় বস্তায় শেখ হাসিনার স্লোগান লেখা দেখে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হন। পরে কালো কালি দিয়ে তা মুছে ফেলা হয়।
গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, প্রথমে বিষয়টি খেয়াল করিনি, পরে স্থানীয়দের আপত্তির মুখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খাদ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে তারা বিতরণ চালিয়ে যেতে বলে, কিন্তু চাপ বাড়ায় আমরা বাধ্য হয়ে লেখা মুছে ফেলি।

এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবীর বলেন,আমরা খেয়াল করিনি যে এতে এমন লেখা রয়েছে।
জেলেদের জন্য সরবরাহ করা চালের বস্তাগুলো এক বছর আগে প্যাক করা হয়েছিল। এখন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বস্তাগুলো থেকে লেখা মুছে ফেলার।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, এ ধরনের লেখা থাকার কথা নয়। হয় বস্তা পরিবর্তন করে বিকল্প উপায়ে চাল বিতরণ করা হবে, না হলে কালো কালি দিয়ে লেখা মুছে দেওয়া হবে। আমি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও মৎস্য কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি

Leave a Reply