শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে  শত শত বোমার বিস্ফোরন, আহত- ১০

শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে শত শত বোমার বিস্ফোরন, আহত- ১০

Social Share Now
শরীয়তপুর প্রতিনিধি \ শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর নুতন পাড় নামক স্থানে গতকাল শনিবার সকালে বিলাসপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে দু গ্রæপের সমর্থকরা ৫ শতাধিক বোমার বিস্ফোরন ঘটায়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা সহ বিভিন্ন মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য প্রেরন করা হয়েছেপুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ওযৌথবাহিনী এলাকা পরিদর্শন করেছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুরুষ শুণ্য রয়েছে। ঐ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। । এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি।
আহসান উল্লাহ মুন্সি কান্দিও ফেরদৌসি আকতার ও জাজিরা থানা পুলিশ জানিয়েছে , জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নে াাধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বর্তমান চেয়ারম্যান আঃ কুদ্দুস বেপারী ও বিজিতা চেয়ারম্যান প্রার্থী আঃ জলিল মাদবর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ েিরাধের জের ধওে ঐ এলাকায় একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষে প্রাণহানি সহ শতাধিক লোকজন আহতের ঘটনা ঘটেছে। উভয় গ্রæপের মধ্যে কয়েক ডজন মামলা বিচারাধীন রয়েছে। গত ১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে উভয় গ্রæপের সমর্থকরা বাড়ি আসে। এ সময় দলের লোকজন নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য একে অপরের লোকজনকে কটাক্ষ করে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র কওে শুরু হয়। বোমার বিস্ফোরন। শনিবার প্রত্যুষে জলিল মাদবরের

সমর্থকরা তাদের এলাকায় বোমা বিস্ফোরন কওে শক্তির জানান দেয়। এ সংবাদ পেয়ে জলিল মাদবর সমর্থকরা ও তাদের শক্তি জাহির করতে এলাকায় বোমা ফাটিয়ে জানান দেয়। সকাল অনুমান ৭টায় জলিল মাদবর সমর্থকরা মুলাই বেপারী কান্দি থেকে শুরু করে সলিমুল্লাহ মাদবর কান্দি ও আহসান উল্লাহ মুন্সি কান্দি পর্যন্ত প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার এলাকায় ককটেল এর বিস্ফোরন করতে করতে পদ্মাপাড়ে চলে যায়। সেখানে আধা ঘন্টা মুখোমুখি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে আঃ কুদ্দুস বেপারী সমর্থকদে রসদ কমে গেলে তারা ফিছু হটে। এ সময় জলিল সমর্থকরা তাদের কে ধাওয়া করে পদ্মা নদীর ওপারে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় কুদ্দুস সমর্থক হাচেন মুন্সি ও রাকিব মুন্সির দুটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে। ঘটনার সময় কমপক্ষে ৫০০ শতাধিক বোমার বিস্ফোরন ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা খালেক মুন্সির বাড়ি, সেকান্দর মুন্সির বাড়ি মোহাম্মদ চৌকিদারের বাড়ি ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় ফাতেমা (৪৫) রিনা (৩৫) ও ফাহিমা (৩৫) সহ কমপক্ষে বোমার আঘাতে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা সহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বোমার শব্দে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ঈদের সময় ঐ এলাকায় বেড়াতে আসা লোকজন আটকা পড়ে চিৎকার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে দেয়। এলাকা বর্তমানে পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে।এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ,র‌্যাব, সেনাবাহিনী, এলাকা পরিদর্শন করেছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। কোন অস্ত্র বা বোমা উদ্ধার করতে পারেনি। এ ঘটনায় কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। এ ঘটনার পর জলিল মাদবর ও কুদ্দুষ বেপারী মোবাইল বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে নড়িয়া সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান বলেন, সকাল ৮টার দিকে খবর পাই বিলাসপুরে দুগ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। এ সংবাদেও ভিত্তিতে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্তন করি। ঘটনার সময় অগনিত বোমার বিস্ফোরন ঘটে। এলাকা এখন শান্ত। অতিরিক্ত পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। যৌথবাহিনী ও আমাদেও সাথে। আছে। এখনো কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি।

Leave a Reply