ডামুড্যায় অতিরিক্ত  বিদ্যুৎ বিল নিয়ে তুলকালাম কান্ড  গ্রাহকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন,দোষীদের অপসারন দাবী

ডামুড্যায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে তুলকালাম কান্ড গ্রাহকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন,দোষীদের অপসারন দাবী

Social Share Now


ডামুড্যা উপজেলার ইসলাম ইউনিয়নের এড়িকাঠি ও কানাইকাঠি গ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। অতিরিক্ত বিলের কাগজ হাতে পেয়ে গ্রাহকরা ফুসে উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে মানববন্ধন করে বিল পরিবর্তন করার দাবী সহ মিটাররিডারের অপসারন দাবী করেছে।পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগ বলছেন এটা অচিরেই সরেজমিন দেখে সমাধান করে দিবেন।
সরেজমি ঘুরে ও ডামুড্যা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানাগেছে,ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের এড়িকাঠি ও কাইকাঠি গ্রামে প্রায় ৭০০/৮০০ পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। তারা রীতিমত প্রতি মাসেই বিল পরিশোধ করে আসছেন। গত মে ও জুন মাসে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষথেকে দেয় বিলের কাগজ অনুযায়ী মিটার রিডিং পর্যালোচনা করে দেখা যায় এড়িকাঠি গ্রামের রোকেয়া বেগমের বাড়ির ৫৪৯২১০০ নং মিটারে জুন মাসে বিল দিয়েছে ৫৫টাকা। জুলাই মাসে ৮৮৪ টাকা।জাহাঙ্গীর মাদবর এর ৫৪৯২০৭০ নং মিটারের জুন মাসে বিল দিয়েছে ৪০২ টাকা। জুলাই মাসে বিল দিয়েছে ১২৮০টাকা। দ্বীল মোহাম্মদ দুলাল এর ৫৪৯২০৬৫ নং মিটারে জুন মাসে বিল দিয়েছে ৪৬২ টাকা। জুলাই মাসের বিল দিয়েছে ১৮৮৩ টাকা। বাদল ফকিরের ৫৪৯২২৮০ নং মিটারে জুন মাসে বিল দিয়েছে ৭৪৫ টাকা। জুলাই মাসের বিল দিয়েছে ২৪১৫ টাকা।একই লোকের অন্য একটি মিটার যার নং ৫৪৯২২৮১ ।গত জুন মাসে বিল দিয়েছে ৬৩০ টাকা। জুলাই মাসের বিল দিয়েছে ১৫৬৩ টাকা। রোকেয়া বেগম এর ৫৪৯২১০০নং মিটারে জুন মাসে বিল দিয়েছে ২৫৫ টাকা। জুলাই মাসের বিল দিয়েছে ৮৮৪টাকা। আঃ মান্নান মাদবরের ৫৪৯৪৫৬০ নং মিটারে জুন মাসে বিল দিয়েছে ১৩৪৩ টাকা। জুলাই মাসে বিল দিয়েছে ৩৫৫৬ টাকা। এমনি ভাবে প্রতিটি মিটারের অতিরিক্ত বিল দাখিল করেছে। মিটার রিডিং ঠিক থাকলে কোন মাসে রিডিং ২৩০ কোন মাসে ৩০০ইউনিট, কোন মিটারে ১৬৫ পরের মাসে ২৬৫ ইউনিট,কোন মিটারে জুন মাসে ৪৬ পর মাসে ১৫৫ ইউনিট । কোন মিটারে জুন মাসে ৮০ ইউনিট। জুলাই মাসে ২২০ ইউনিট বিল দিয়েছে।জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিমাসের বিলের চেয়ে ৩/৪ গুন বিল বেশী ধরা হয়েছে। কোন কোন মিটারের বিল ৪ গুনের ও বেশী দাখিল করা হয়েছে। বিল হাতে পেয়ে গ্রাহকরা ফুসে উঠেছে। তারা গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। শত শত নারী পুরুষ বিদ্যুৎ বিলে কাগজ হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা অতিরিক্ত বিল পরিবর্তন করে বিল দাখিলের জন্য দাবী জানায়। একই সাথে মিটার রিডারকে অনতি বিলম্বে অপসারনের জন্য জোর দাবী জানান।
এ ব্যাপারে গ্রাহক দ্বীল মোহাম্দ দুলাল মাদবর বলেন, আমার একটা মিটারে জুন মাসে ৯০ ইউনিট বিল করেছে ৪৬২ টাকা, জুলাই মাসে করেছে ১৮৮৩ ট্কাা অপর মিটারে জুন মাসে বিল দিয়েছে ৮০ ইউনিট ৪০২ টাকা। জুলাই মাসে ২২০ ইউনিট বিল দিয়েছে ১২৮০ টাকা। অথচ একই ফ্যান,একই বাতি সহ অন্যান্য সামগ্রীতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ সমাধান চাই।
গ্রাহক বাদল ফকির বলেন, আমাকে জুন মাসে ১৪৫ ইউনিটের বিল দিয়েছে ৭৪৫ টাকা। জুলাই মাসে ৩৯০ ইউনিটের বিল ধরেছে ২৪১৫ টাকা। এত বিল কিভাবে হলো । আমি এর সঠিক সমাধান চাই।
রোকেয়া বেগম বলেন,আমাকে জুন মাসে বিল দিয়েছে ৫৫ টাকা। জুলাই মাসে বিল দিয়েছে ৮৮৪ টাকা। পল্লী বিদ্যুৎ এ ধরনের দুনীীর্তির বিচার চাই। সাথে সাথে মিটার রিডার এর অপসারন দাবী করছি।
এ ব্যাপারে ডামুড্যা পল্লী বিদ্যুৎ এর ডিজিএম জাহিদা খানম বলেন, জুন মাসে কমদিনের রিডিং এবং জুলাই মাসে কোরবানির বন্ধের কারনে দেরীতে রিডিং নেয়ার জন্য হেরফের হয়েছে। আমি জিএম স্যারকে নিয়ে সরেজমিন দেখে তড়িৎ সমাধান করে দিব।
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ এর জিএম মোঃ জুলফিকার রহমান বলেন, আমাকে বিষয়টি একজন লোক জানিয়েছে। আমি ডিজিএম ডামুড্যাকে জানিয়ে তড়িৎ সমাধানের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

Leave a Reply