শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মোটরসাইকেল আটককে কেন্দ্র করে নড়িয়া থানায় হামলা,ভাংচুর ,আটক-৯

Social Share Now
শরীয়তপুর প্রতিনিধি \ শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মোটরসাইকেল আটককে কেন্দ্র করে নড়িয়া থানায় হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। এসময় ভাংচুর করা হয় থানা কমপ্লেক্সের ২ টি কক্ষে। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন ১ পুলিশ কনস্টেবল। এঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ২৪ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো ২০/২৫ জনকে আসামী করে
পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আটক নেতাকর্মীঅদেরকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল নড়িয়ায় ৩ টি মটরসাইকেল আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মোটরসাইকেল ছাড়িয়ে নিতে নিতে থানায় আসেন স্থানীয় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা কর্মী। এসময় রেজিষ্ট্রেশনের বৈধ কাগজ না থাকায় মটরসাইকেল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে থানার হামলা করে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। ভাংচুর চালানো হয় থানা কমপ্লেক্সের ২ টি কক্ষে। এসময় হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোঃ বিল্লাল নামে ডিএসবির এক কনষ্টেবল গুরুতর আহত হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ২৪ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো ২০/২৫ জনকে আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে । এঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।আটককৃতরা হলেন,খাইরুজ্জামান শেখ, আপন মাদবর,বিশাল হাওলাদার, উজ্জল হাওলাদার,সোহাগ মোল্যা, হাসান মোল্যা,স¤্রাট শিকদার, রাজন মাদবর, নুরমোহাম্মদ নুরু। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে শুক্রবার সকালে আটককৃতদের শরীয়তপুরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে আটকৃতদের স্বজন নুরুজ্জামান শেখ বলেন, যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের নিয়ে অমরা কোন ছাড় দিবনা। পুলিশ রাতের বেলা ঘুমের ঘরে কিছু লোককে আটক করে কোর্টে পাঠিয়েছে। এ বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারিনা। নির্দোষ লোকদেরকে ছেড়ে দেয়া হোক।
নড়িয়া থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, ঘড়িষার এলাকায় কতিপয় যুবক এক সুমাইয়া নামের যুবতিকে অপহরন করতে গেলে টের পেয়ে স্থানীয়রা ধাওয়া করে। তখন ৩টি মোটর সাইকেল ফেলে ঐ যুবকেরা পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে ৩টি মোটর সাইকেল জব্দ কওে থানায় নিয়ে আসে। কিছু সময় পর রাত অনুমান সাড়ে ৮টায় সুমাইয়ার মা থানায় অভিযোগ করতে আসলে ঐ যুবকরা তাকে ধাওয়া করে। এ সময় ঐ নারী থানায় আশ্রয় নিয়ে পুলিশের সাহায্য চায়। এ সময় পুলিশ যুবকদের তাড়িয়ে দেয়। কিছু সময় পর রাত অনুমান ৯টায় কতিপয় যুবক থানায় এস ঐ মোটর সাইকেল তাদের বলে দাবী করে এবং সাইকেল দিয়ে দিতে বলে। পুলিশ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায় যুবকেরা থানায় হামলা করে ভাংচুর করে। এ ঘটনায় এসআই আল আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা রুজু করেছে। আটককৃত ৯জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply